মতলব দক্ষিণের চরমুকুন্দি জামে মসজিদের সম্প্রসারণ কাজে বাঁধা : মুসল্লীদের প্রতিবাদ

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব পৌরসভার চরমুকুন্দি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্প্রসারণ কাজে বাঁধা ও কমিটির নামে মামলা করায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুসল্লী এবং এলাকাবাসী। ওই মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত জায়গা দখল করে কবরস্থান করা এবং মসজিদের জায়গা উপর দিয়ে যাতায়াতের পথ না দেয়ায় কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যাদের বিরুদ্ধে হয়রানি মুলক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করায় শুক্রবার (১ আগস্ট ২০২৫) বাদ জুমা মসজিদের মুসল্লী ও এলাকাবাসী এবং কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রতিবাদ করেন। এছাড়াও মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দ জানান, এ মসজিদটি একশত বছরের পুরাতন মসজিদ। ওই সময়ে এলাকাবাসী প্রথমে ৯ শতাংশ জমি মসজিদের নামে লিখে দেয় এবং মসজিদের নামে ওয়াকফ্ করা হয়েছে। আমরা এখন ৯ শতাংশ জমির মধ্যে থেকে কাজ করছি। মসজিদের আরো ৫ শতাংশ জমি রয়েছে। উক্ত ৫ শতাংশ জমি প্রধানিয়া বাড়ীর লোকজন কবরস্থান নির্মাণ করে দখল করে রেখেছে।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী কবির খান জানান, মসজিদের নামে ১৪শতাংশ জায়গা রয়েছে। বর্তমান মসজিদটি ৯ শতাংশ জায়গার উপর নির্মিত হয়েছে। উক্ত ৯ শতাংশ জায়গার মধ্যেই মসজিদের মুল ভবনের কাজ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মসজিদে আরো ৫শতাংশ জায়গা মসজিদটির পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে। সেখানে প্রধানীয়া বাড়ীর লোকজন মোজাম্মেল হক গংরা কবরস্থান করে মসজিদের জায়গা দখল করে আছে। আমরা মসজিদ কমিটি থেকে বারংবার বলার পরও তারা মসজিদের জায়গা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে তারা মসজিদের ভূমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। এরি মধ্যে তড়িগড়ি করে তারা ওই রাস্তাটি পাকা ঢালাই করেছেন।
স্থানীয় এলাকবাসী জাবের হোসেন খানসহ অন্যান্যরা জানান, প্রধানীয়া বাড়ীতে যাতায়াতের জন্য তাদের রাস্তা রয়েছে। তারপরও মোজাম্মেল গংরা মসজিদের উপর দিয়ে রাস্তা নেওয়ার পায়তারা করছে। মসজিদের জায়গার উপর দিয়ে কারো ব্যক্তিগত চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। মসজিদের দক্ষিণ পাশ দিয়ে তাদের চলাচলের রাস্তা রয়েছে। মসজিদের জায়গায় সম্প্রসারণে বাঁধা দিলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলার বাদী মোজাম্মেল হক জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এ রাস্তা দিয়ে আমাদের বাড়ীর লোকজন চলাচল করেছি। ওই রাস্তাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে পাকা করা হয়েছে।