চাঁদপুর সকাল

ধনাগোদা নদীর ভয়াল রুপ, হুমকিতে বেড়িবাঁধের দুটি স্থান

প্রায় ২০ ঘন্টা আগে
ধনাগোদা নদীর ভয়াল রুপ, হুমকিতে বেড়িবাঁধের দুটি স্থান

চাঁদপুরের মতলবে ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের স্থায়ী বাঁধের দুটি অংশ ধনাগোদা নদী গর্ভে বিলীনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর ফলে স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক।


বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায চলতি বর্ষা মওসুমে বৃষ্টি ও প্রবল জোয়ারের পানির আঘাতে নদীর পানির ঢেউয়ে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন আমিরাবাদ বাজারের পূর্ব দিকে তিনশত মিটার ও জনতা বাজারের পশ্চিম দিকে দুইশত মিটার এখন ভাঙনের মুখে।


উক্ত এলাকায় বাঁধ সংলগ্ন ধনাগোদা নদীর গভীরতা অনেক বেশি ও ঘূর্ণন স্রোত প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর ফলে যে কোন মুহূর্তে সেচ প্রকল্পের স্থায়ী বাধঁটির উক্ত দুটি স্থান ভেঙে যেতে পারে। এর ফলে প্রকল্পের অভ্যন্তরের ঘর বাড়ি, বিস্তীর্ণ জনপদ, সরকারি বেসরকারি নানা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।


প্রায় ১০/১১ বছর আগে ভাঙনরোধে ওই সব স্থানে পানি উন্নয়ন বিভাগ জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলে প্রাথমিকভাবে তা রক্ষা করে । গত এক সপ্তাহ ধরে ওইস্থানের ব্লক ও জিও ব্যাগ ধনাগোদা নদীতে হারিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।


জেলা বিএনপির সদস্য ও স্থানীয় অধিবাসী মিয়া মন্জুর আমিন স্বপন জানান ইতোপূর্বে বাঁধের পাশে যখন ভাঙন শুরু হয তখন আমরা এখানে এসে পাহারা দেই। তিনি জানান এই স্থানে সথায়ী ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মুহূর্তে বাধঁটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। আমিরাবাদ বাজারের পশ্চিম দিকে লাগোয়া মেঘনা নদী আর পূর্বদিকে ধনাগোদা নদী। দুই নদীর সঙযোগ সথলে এখন জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে ওইসব সথানে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানান ম্থানীয়রা।


এব্যাপারে মেঘনা ধনাগোদা পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সেলিম শাহেদ বলেন বিষয়টি পাউবোর প্রধান প্রকৌশলীসহ উধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।পানি বাড়ার কারণে বাধঁটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ । তাই বাঁধঁ সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা ।