৮১৭ বন্দির মুখে ফুটল হাসি : মৌসুমি ফল উৎসবে সজীব হলো চাঁদপুর জেলা কারাগার

রোববার অনুষ্ঠিত এই উৎসবে মোট ৮১৭ জন বন্দিকে তাদের হাতে বিভিন্ন মৌসুমি ফল তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি বন্দিকে আম ও কাঁঠালসহ অন্যান্য মৌসুমি ফল সরবরাহ করা হয়, যা দীর্ঘ দিন কারাবন্দিত্বের মধ্যে তাদের জন্য এক অনন্য উপহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কারাগারের ভিতরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যেখানে বন্দিরা ভিন্ন রকম এক খুশির অনুভূতি উপভোগ করেন।
এই আয়োজন ছিল চাঁদপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের নিজস্ব উদ্যোগ এবং কারা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ভূঞা, সহকারী সার্জন ডাঃ মোঃ বেনজির আহমেদ, জেলা ও কারাগারের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জেল সুপার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ভূঞা বলেন, “আমাদের কারাগারে বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দীর্ঘ বন্দিত্বের ক্লেশ ও চাপ কাটিয়ে উঠতে এই ধরনের মানবিক উদ্যোগের খুবই প্রয়োজন। মৌসুমি ফল বিতরণে তারা অত্যন্ত খুশি হয়েছে এবং এতে কারাগারে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “কারাগারে বন্দিদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব ও পুনর্বাসনের জন্য এই ধরনের কার্যক্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে বন্দিরা নিজেরাই তাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হয়।”
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক বন্দি আবেগাপ্লুত হয়ে জানান, “বাড়িতে ফলের মৌসুমে নানা ধরনের ফল খাওয়া হয়, কিন্তু কারাগারে থেকেও মৌসুমি ফল খাওয়ার সুযোগ পাবো—কল্পনাও করিনি। এটি আমাদের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আমরা কারা কর্তৃপক্ষের এই মানবিক উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞ।”
ফল উৎসবের এই আয়োজন বন্দিদের আত্মীয়-স্বজন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং সমাজের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে। তারা বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ বন্দিদের মানবিক উন্নয়ন এবং সামাজিক পুনর্বাসনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
চাঁদপুর জেলা কারাগারের এই উদ্যোগ কারাবন্দিদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করেছে, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।




