প্রতিবন্ধী ছয় সহোদরের পাশে দাঁড়ালেন সাবেক এমপি লায়ন হারুন

ওই গ্রামের আজিম বাড়ির মনোহর ও ফুল বানু দম্পতির প্রতিবন্ধী ছয় সন্তানের জন্যে ঘর তৈরি করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু করতে নির্দেশনা দেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি নগদ আর্থিক সহায়তা প্রতিবন্ধী সহোদরদের মা ফুলবানুর হাতে তুলে দেন। এছাড়া রূপসা উত্তর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুল জলিলের সহযোগিতায় ওই পরিবারকে ১৫দিনের খাবারের ব্যবস্থা করে দেন।
তিনি উপস্থিত ওই প্রতিবন্ধী পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিটি মানুষের নৈতিকভাবে উচিত তার প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়ানো। আমি শুনতে পেয়েছি এই পরিবারের ছয় জন সদস্য শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তারা দুঃসহ অবস্থায় রয়েছেন। আজ এখানে এসে তাদের ঘরের অবস্থা থেকে কষ্ট পেয়েছি। তাই নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু করতে । শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতি করি আমরা, আমাদের দলের প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা মানবিক কর্মসূচির মাধ্যমে এদেশের মানুষের পাশে থাকতে চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক আজিজুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক নাছির পাটওয়ারী, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন কোম্পানী, পৌর বিএনপি নেতা ও পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম টুটুল পাটওয়ারী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন পাঠান, রূপসা উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল ও বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম স্বপন, পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পেয়ার আহমেদ, শ্রমিক দল নেতা আবুল কাশেম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আজিম বাড়ির বাসিন্দা মনোহর ও ফুল বানু দম্পতির ৭ সন্তানসহ বর্তমানে ৮ সদস্যের পরিবারের ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে শুধু বড়ো মেয়ে সুস্থ রয়েছেন। বাকি সন্তানরা সবাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। শারীরিক এ প্রতিবন্ধীদের শরীরে নানান রোগ বাসা বাঁধলেও অর্থাভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা, অর্ধাহারে অনাহারে কাটছে জীবন। থাকার নেই ভালো বাসস্থানের ব্যবস্থা। তাই পুরো পরিবারের জীবন যাপন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
শারীরিক এ প্রতিবন্ধীরা হলেন : নুরুল ইসলাম (৪১), তাজুল ইসলাম (৩৯), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৪), মো. আবদুর রব (৩২) ও রেহানা বেগম (২৩)। সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জন্ম হলেও ৬ থেকে ৭ বছর বয়সে সবাই টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধিত্বের শিকার হন।



