ফরিদগঞ্জে দেনার দায় দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা
নাজমার ভাসুর আমির হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাই জাকির হোসেন পেশায় অটোচালক। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে গিয়ে নাজমা ও জাকির স্থানীয়দের কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন। পরে সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে আরও এনজিও থেকে লোন নেন। কিন্তু কিস্তির টাকা নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারায় নাজমা মানসিক চাপে পড়েন। হয়তো সেই হতাশা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আজ সকাল ৭টার দিকে জাকির অটোরিকশা নিয়ে বের হন। সে সময় নাজমা বিছানায় শুয়ে ছিলেন। গত দুই দিন ধরে জ্বরেও ভুগছিলেন তিনি। জাকির ১০টার দিকে ফিরে এসে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। কিন্তু জাকির ১০টার দিকে ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ পায়। জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখে নাজমা আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছেন। পরে তার চিৎকারে আমরা গিয়ে দরজা ভেঙে দেখি, নাজমা আর বেঁচে নেই।
খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ আলম বলেন, দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।




