হাজীগঞ্জে প্রাইম ব্যাংকের একাধিক গ্রাহকের টাকা উধাও

সুমি আক্তার বলেন, গত ২৫ জুন তিনি একটি চেক রিসিভ করার সংক্রান্ত এসএমএস পেয়ে ব্যাংক থেকে ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। তার একাউন্টে সেই সময় প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা ছিল। কিন্তু সোমবার ব্যাংকে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্টে কোন টাকা নেই। পরে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখালে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে মোট ছয়বার বিকাশে ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন, তিনি এই টাকা কখনো ট্রান্সফার করেননি এবং তার মোবাইলে কোনো ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) এসএমএস আসেনি।
অন্য এক ভুক্তভোগী মাসুদা জানান, তার একাউন্ট থেকেও প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা অবৈধভাবে অপসৃত হয়েছে। তিনিও একইভাবে কোন ট্রান্সফার করেননি এবং ওটিপি এসএমএস পাননি।
সোমবার দুপুরে ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে হাজীগঞ্জের আরেক গ্রাহক সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার একাউন্টে প্রায় ৫ লাখ টাকা রয়েছে। গত ২৭ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত তার মোবাইলে অন্তত ১৫টি ওটিপি এসএমএস এসেছে। নিজের নিরাপত্তার জন্য তিনি এসব ওটিপি কাউকে শেয়ার করেননি। এর মধ্যেই তিনি নিজেই প্রাইম ব্যাংক থেকে অন্য একটি ব্যাংকের একাউন্টে ৫ লাখ টাকা সফলভাবে ট্রান্সফার করতে পেরেছেন।
প্রাইম ব্যাংকের হাজীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তবে তিনি জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং তারা ইতোমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
অন্যদিকে, প্রাইম ব্যাংক পিএলসির হেড অফিস থেকে সংবাদকর্মীদের দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রাইম ব্যাংক গ্রাহক বান্ধব নীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং দেশের প্রযোজ্য আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা মেনে কাজ করে। সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন প্রতারণার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। আমরা এ ধরণের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি এবং গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ, কখনোই আপনার ওটিপি, পাসওয়ার্ড বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের গোপনীয় তথ্য কাউকে শেয়ার করবেন না।”
এ বিষয়ে ব্যাংক ও গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও উঠেছে।