কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা : ২১ বছর হলেই ৪% সুদে স্টার্টআপ ঋণের সুযোগ

নতুন নির্দেশনায় স্টার্টআপে অর্থায়নের নিয়ম-কাঠামোয় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে স্টার্টআপ ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১ কোটি টাকা; এখন তা সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। উদ্যোক্তার কার্যক্রমের ধরন ও মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত হবে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে ২১ বছর পূর্ণ হলেই একজন বাংলাদেশি নাগরিক স্টার্টআপ লোনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ থেকে পুনঃ অর্থায়নের সুবিধা পাবে। এই তহবিল থেকে প্রাপ্ত ঋণের সুদহার গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ হবে, যা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আরোপযোগ্য।
নতুন নীতিমালায় শুধু ঋণ নয়, ইকুইটি বিনিয়োগের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক নিজস্ব ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ থেকে উদ্যোক্তাদের ইকুইটি বিনিয়োগ সুবিধা দিতে পারবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে।
এই কোম্পানির মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তাদের ফান্ডের টাকা সরাসরি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানে ইকুইটি হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারবে। পরবর্তী সময়ে কোম্পানির কাঠামো, পরিচালনা পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে আলাদা নির্দেশনা আসবে।
যেসব স্টার্টআপ ইতিমধ্যে নিবন্ধিত এবং ১২ বছরের কম সময় ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে, তারাও এই অর্থায়নের আওতায় আসবে। তবে এখন থেকে ব্যাংকের নিজস্ব স্টার্টআপ ফান্ড থেকে নতুন কোনো ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ করা যাবে না। শুধু ইতিমধ্যে অনুমোদিত ঋণ/বিনিয়োগের অর্থ ছাড় করা যাবে।




