এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে চাঁদপুরের গাজী মুনছুর আজিজ

“যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই; সবুজ বিশ্ব গড়তে চাই” — এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজিজ ৬ জুন নেপালের লুকলা থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং ৮ দিনের ট্রেকিং শেষে ১৩ জুন বিকেল ২:৪৫ মিনিটে পৌঁছান পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতের বেস ক্যাম্পে (৫,৩৬৪ মিটার উচ্চতায়)।
আজিজ বলেন, “আমরা চাই একটি যুদ্ধমুক্ত ও দূষণমুক্ত পৃথিবী, যেখানে শিশুদের মৃত্যু হবে না বোমার আঘাতে, বরং তারা বেড়ে উঠবে আনন্দে ও নির্মল পরিবেশে। এই বার্তাগুলো বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে বেছে নিয়েছি এভারেস্ট বেস ক্যাম্পকে।”
তিনি আরও জানান, ২০১৩ সালের ২০ মে এভারেস্ট জয়ের পর নেমে আসার পথে সজল খালেদ মৃত্যুবরণ করেন। আজিজ চান সজলের গল্প যেন মানুষ জানে, কারণ সজল ছিলেন বাংলা ম্যারাথনের পথিকৃৎও। ২০০৭ সালে ইনাম আল হকের পরিকল্পনায় ও সজলের নেতৃত্বে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে প্রথম বাংলা ম্যারাথনের আয়োজন হয়। এরপর ২০০৯ ও ২০১০ সালেও সজলের উদ্যোগে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। তার মৃত্যুর পর থেকে আজিজ প্রতি বছর এককভাবে এ ম্যারাথন করে আসছেন।
অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ক্রাউড ফান্ডিং–এ সহায়তাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব (BMTC)–এর প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, ক্লাব সদস্যরা, এবং অল্টিচিউড হান্টার–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক আহমেদ তমাল–কে, যাঁর সহযোগিতায় এ অভিযান সফল হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজী মুনছুর আজিজ বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য। ভ্রমণবিষয়ক একাধিক বইয়ের লেখক তিনি, যার মধ্যে ‘পাখির খোঁজে বাংলাজুড়ে’ বিশেষভাবে প্রশংসিত। পাশাপাশি তিনি পরিবেশ সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড ও গাছ লাগানোর মতো নানা উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে যুক্ত।