চাঁদপুরে জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক আলোচনা সভা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন উপলক্ষে চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’ এর অংশ হিসেবে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক সমাবেশ ও আলোচনা সভা।
শনিবার (২ আগস্ট ২০২৫) সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই। ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে যদি আমরা আরও মায়েদের বক্তব্য শুনতে পারতাম, তবে হয়তো অনেক অজানা ইতিহাস সামনে আসতো। এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের, বিশেষ করে মায়েদের কষ্টের জায়গাটা সবসময়ই গভীর।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের সুবিধা আজ কারা নিচ্ছে? কেবল ছেলেরা, না কি মায়েরাও ছিলেন সেই সংগ্রামে? এই অভ্যুত্থানে লাখো সন্তানকে যুদ্ধের মাঠে পাঠিয়েছিলেন মায়েরাই। তাঁরা সন্তানদের দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। যুদ্ধ চলাকালীন সন্তান কোথায় আছে, কার সাথে আছে—এই চিন্তায় মায়েরা দিনের পর দিন নির্ঘুম থেকেছেন। আজকের এই অবদানের জন্য তাঁরা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সমাজে নারী-পুরুষ বৈষম্য থাকবে না। আমরা চাই একটি সমতা ভিত্তিক বাংলাদেশ—যেখানে নারীর অবদানও সমভাবে স্বীকৃত হবে। আজকের এই সকল অবদানের জন্য মায়েরা প্রশংসনীয়। সমাজে নারী পুরুষ কারো মধ্যে বৈষম্য থাকবেনা। আমরা নারী পুরুষের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাখাওয়াত জামিল সৈকত। নারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নাজমুন্নাহার মুকুল, মরিয়ম মাহি, সানজিদা আক্তার সানজু।
এছাড়াও আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম, চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাড. শাহজাহান মিয়া, নারী পিপি অ্যাডভোকেট কোহিনূর বেগম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সূচিত্র রঞ্জন দাস, জেলা তথ্য কর্মকর্তা তপন বেপারী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা আক্তার, চাঁদপুর জেলা জুলাই মঞ্চ আহ্বায়ক জাকির হোসেন।
এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকগণ, সাধারণ ছাত্রছাত্রী এবং সাংবাদিকবৃন্দ।