চাঁদপুর সকাল

সহজ জয়ে এশিয়া কাপ শুরু আফগানিস্তানের

প্রায় ২ মাস আগে
সহজ জয়ে এশিয়া কাপ শুরু আফগানিস্তানের

বড় বড় দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এখন হরহামেশা জেতে আফগানিস্তান। এই তো কদিন আগে আরব আমিরাতে শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকেও হারিয়েছেন রশিদ-নবিরা। সে হিসেবে হংকং তাঁদের কাছে ছোট এক প্রতিপক্ষই। ‘ছোট’ এই প্রতিপক্ষকে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ৯৪ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান।


আবুধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে সেদিকউল্লাহ আতাল ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৮৭ রান তোলে আফগানিস্তান। লক্ষ্য তাড়ায় হংকং ২০ ওভার খেললেও ৯ উইকেটে ৯৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি।


রান তাড়ায় এসে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে হংকং। একপর্যায়ে ২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। বড় কোনো জুটি গড়ে না ওঠায় এই বিপর্যয় কাটানো সম্ভব হয়নি। তিনে নামা বাবর হায়াত ৪৩ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। রানের দু্‌ই ছুঁয়েছেন হংকংয়ের আরেকজন ব্যাটার—অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা। ২৬ বলে করেছেন ১৬ রান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ফজলহক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব।


আফগানিস্তানের স্কোর যে ১৮৮ হবে, শুরুতে তা বোঝা যায়নি। ১২ রান তুলে প্রথম ওভার শুরু করা আফগানিস্তান ধাক্কা খায় তৃতীয় ওভারে। দলীয় ২৫ রানে আয়ুশ শুকলার বলে ব্যক্তিগত ৮ রান করে ফিরে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ। পরের ওভারেই তাঁকে অনুসরণ করেন তিনে ব্যাটিংয়ে আসা ইব্রাহিম জাদরান। ব্যক্তিগত ১ রানে তিনি যখন ফিরে যান আফগানিস্তানের স্কোর ২৬/২।


এরপর তৃতীয় উইকেটে ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতালকে নিয়ে ৪১ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নবি। তাতে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠেন তাঁরা। কিন্তু আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগে নবীকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আতিক ইকবাল। ফিরে যাওয়ার আগে ২৬ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। নবি আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন আতাল। ৫২ বলে খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো এই ইনিংস তাঁর ক্যারিয়ারসেরা। এর আগে তাঁর সেরা ইনিংসটি ছিল ৬৪ রানের, যা খেলেছিলেন এশিয়া কাপের আগে তিনজাতি সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে।


ছয় নম্বরে ক্রিজে এসে ফিফটি করেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। সেদিকউল্লাহ যেখানে ফিফটি করেছেন ৪১ বলে, সেখানে ২০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। এই সংস্করণে আফগানিস্তানের পক্ষে এটিই দ্রুততম ফিফটি। ২টি চার ও ৫টি ছয়ে সাজানো তাঁর ২১ বলের ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট—২৫২.৩৮!


বল হাতে সবচেয়ে সফল কিঞ্চিত শাহ; ২৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। শুক্লাও নিয়েছেন ২ উইকেট, তবে তিনি রান দিয়েছেন ৫৪টি।