প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন ও নম্বর বিভাজন প্রকাশ

চালু হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা। চলতি বছর থেকেই ডিসেম্বরের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে পৃথকভাবে এ বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ উপলক্ষে পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ এবং পরীক্ষার বিষয়সমূহ প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর। পরীক্ষাটি নেওয়া হবে চার বিষয়ে—বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ও প্রাথমিক বিজ্ঞান (এই দুটি বিষয় একত্রে ধরা হবে)। প্রতিটি বিষয়ে পূর্ণমান থাকবে ১০০ এবং সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
এদিকে ৪ আগস্ট বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) জাতীয় শিক্ষা একাডেমির (নেপ) এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষার ২০২৫ প্রশ্নপত্র কাঠামো ও নম্বর বিভাজন প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জন্য বলা হয়েছে। পরীক্ষা হবে পাঁচ বিষয়ের ওপর। এরমধ্যে তিনটি বিষয়ের ওপর ১০০ নম্বর করে এবং দুটি বিষয় একসঙ্গে করে ৫০ নম্বর করে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে।সেরা অনলাইন কোর্স
জানা গেছে, প্রতিদিন একটি করে বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা হবে একদিনে। দুটি বিষয়কে একটি ধরে পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অংশ থেকে ৫০ নম্বর এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান থেকে ৫০ নম্বরের প্রশ্নপত্র থাকবে। এ পরীক্ষার জন্যও শিক্ষার্থীরা ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় পাবে।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সালে এটি আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু চালু করা হয়নি। তবে বিকল্প হিসেবে বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় মেধাবৃত্তি এছাড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য চালু রাখা হয় উপবৃত্তি। দীর্ঘদিন পর বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার এই বৃত্তি চালু করতে যাচ্ছে।