ফরিদগঞ্জে মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩

নিহতের পরিবার জানায়, গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তফাকে প্রথমে চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে ১২ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতে স্থানীয় মাদক কারবারি সোহেল গংরা মোস্তফাকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর এবং পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এতে তাঁর কিডনি গুরুতরভাবে জখম হয়।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত সোহেল ও নিহত মোস্তফা একই গ্রামের বাসিন্দা। সোহেলের ভাই ফয়সাল এক দোকানির কাছ থেকে পেট্রল আনার কথা বলে ৪ হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। দোকানদার জাহাঙ্গীর মোস্তফার আত্মীয় হওয়ায় তিনি বিষয়টি নিয়ে সোহেলদের সঙ্গে কথা বলেন। এর জের ধরে মোস্তফাকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হামলা চালানো হয়।
নিহতের ভাই মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমার ভাইকে রাত ১০টার দিকে ঘর থেকে ডেকে নেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে আমরা গিয়ে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন মারা যান। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।’
স্থানীয়রা জানান, সোহেল গংরা এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি। একাধিকবার তারা মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, মোস্তফা তাদের মাদক কারবারে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম বলেন, ‘নিহতের ভাই আলাউদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একজন পলাতক রয়েছে। ভিকটিম মারা যাওয়ায় মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।’