ফরিদগঞ্জে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম.এ. হান্নান বলেন, “আজ বিএনপি ও এ দেশের আপামর জনসাধারণের জন্য একটি বিশেষ দিন। এই দিনে সিপাহি-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে নতুন যাত্রাপথে নিয়ে গিয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে জনগণের নেতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বৃষ্টিতে ভিজেছি, মিছিল করেছি, তবুও ফ্যাসিবাদ সরকারকে ভয় পাইনি। ২০০৮ সালে আমার মনোনয়ন ছিনতাই হওয়ার পরেও আমি দলের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি এবং আজও আমি দলের বিরুদ্ধে কিছু বলতে আসি নাই। আমি দলের নেতা ও নেত্রীকে শ্রদ্ধা করি। তবে যদি ভুল বসত কোন সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, আমার দলের মহাসচিব বলেছেন এটাই চুড়ান্ত মনোনয়ন নয়, সংযোজন বিয়োজন হতে পারে। দয়া করে আমরা কেহই দলের বিরুদ্ধে ও আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলবেন না। আমরা দলের সাথে আছি এবং দলের সাথে থাকবো। তারপরেও দল যদি আপনাদের ভাষা না বুঝে, তাহলে তারেক সাহেবকে অনুরোধ করবো এবং আপনারা সিদ্ধান্ত নিবেন, আপনাদের সাথে আমি আছি এবং থাকবো।”
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। র্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বাসস্ট্যান্ডে এসে সমাপ্ত হয়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ মোহাম্মদ ইউনুস, মজিবুর রহমান দুলাল, ডা. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক পৌর মেয়র মঞ্জিল হোসেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমানত গাজী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর খসরু মোল্লা, আব্দুল খালেক পাটওয়ারী, রফিকুল ইসলাম কাঞ্চন, নজরুল ইসলাম পাটওয়ারী, আব্দুর রহমান, আলমগীর পাটওয়ারী, মাহবুবুর রহমান মফু ও মাসুদ বেপারী।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন ও আমির হোসেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু, পৌর যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আমিন মিজি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মঞ্জুর ও সদস্য সচিব আবু ইউসুফ চৌধুরী শাওন।
সভায় উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।



