আড়াই শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে ‘৩৬ জুলাই’ উদযাপন

সারাদিন থেমে থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়েছে আজ। অনেকেই ছাতার নিচে। তবে অধিকাংশের কাছেই ছাতা নেই। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট ২০২৫) মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় ‘৩৬ জুলাই’ উদযাপন। এ উপলক্ষে উপস্থিত হয় হাজার হাজার মানুষ। ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন, দিনভর গান শুনিয়েছেন আড়াই শতাধিক শিল্পী।
দুপুর ১২টায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন কলরব শিল্পীগোষ্ঠী, কণ্ঠশিল্পী নাহিদ ও কণ্ঠশিল্পী তাশফি। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে বেলুন উড়িয়ে ফ্যাসিস্টের পলায়ন উদযাপন করা হয়। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন ‘চিটাগাং হিপহপ হুড’, র্যাপসংগীত পরিবেশন করেন র্যাপার সেজান এবং ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন ব্যান্ডদল শূন্য। এরপর মঞ্চে উঠেন কণ্ঠশিল্পী ইথুন বাবু, পলাশ ও মৌসুমি।
এরপর জুলাই আন্দোলনে শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রদর্শিত হয় প্রামাণ্যচিত্র ‘জুলাই বীরগাঁথা’।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পর বক্তব্য দেন নেতৃবৃন্দ। এরপর বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব, সচিবসহ বিভিন্ন বাহিনী ও দপ্তরসংস্থার প্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের পর সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী সায়ান, ব্যান্ডদল সোলস, ওয়ারফেজ, বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল, ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ব্যান্ডদল এফ মাইনর, কণ্ঠশিল্পী পারশা মাহজাবিন ও কণ্ঠশিল্পী এলিটা করিম। সবশেষে ব্যান্ডসংগীত পরিবেশন করে ব্যান্ডদল ‘আর্টসেল’।
পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যান্ড ও দলের ২৫০ জনেরও অধিক শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জনপ্রিয় উপস্থাপক জুলহাজ্জ জুবায়ের ও সারা আলম।