চাঁদপুর সকাল

৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশে বিলম্ব

৩ মাস আগে
৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশে বিলম্ব

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। অধিক সংখ্যক প্রার্থী নিবন্ধন সনদ সংশোধনের আবেদন করায় সুপারিশে বিলম্ব হতে পারে বলে জানা গেছে।


বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার প্রার্থী নিবন্ধন সনদ সংশোধনের আবেদন করেছেন। তাদের সনদ সংশোধন না করা পর্যন্ত ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ করা হবে না। এছাড়া ১৮তম নিবন্ধনে ৩৫ ঊর্ধ্বদের বিষয়ে আদালতের একটি নির্দেশনা রয়েছে। ফলে সুপারিশে বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা জানান, ‘দুইটি কারণে সুপারিশে কিছুটা বিলম্ব হবে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো-অধিক সংখ্যক প্রার্থীর সনদ সংশোধনের জন্য আবেদন করা। আর দ্বিতীয়টি হলো নতুন চেয়ারম্যানের যোগদান। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সুপারিশ করার।’


চলতি সপ্তাহে সুপারিশ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সম্ভাবনা কম। কেননা সনদ সংশোধন করতে কিছুটা সময় লাগবে। এছাড়া ৩৫ ঊর্ধ্ব ৬৫ জন প্রার্থীর বিষয়টি এখনো সমাধান হতনি। ফলে চলতি মাসে সুপারিশের সম্ভাবনা নেই। নতুন চেয়ারম্যান যোগদানের পর তার সাথে আলোচনা করে সুপারিশের বিষয়টি বলা যাবে।’


গত ১৬ জুন লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনগ্রহণ শুরু হয় গত ২২ জুন। যা চলে ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা ছিল ১৩ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, এ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৭ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন।


অথচ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে—স্কুল ও কলেজে রয়েছে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি পদ ফাঁকা। সে হিসেবে প্রায় অর্ধেকের মতো পদ ফাঁকাই থেকে যাবে।