১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাতে বসেছেন সাইফ আলি খান

যেভাবে শুরু হলো এই বিতর্ক
বিতর্কের সূচনা ২০১৪ সালে, যখন মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা দেয়—ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তি ‘এনেমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট ১৯৬৮’-এর আওতায় আনা হবে। কারণ, নবাবের জ্যেষ্ঠ কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে চলে যান। সরকারের যুক্তি—বিদেশে বসবাসরত উত্তরাধিকারীর সম্পত্তি এখন রাষ্ট্রের মালিকানায় পড়বে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন সাইফ আলি খান। দীর্ঘ সময় মামলাটি স্থগিত থাকলেও ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। আর চলতি বছরের জুলাইয়ে আদালত সাইফের আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেয়।
শত্রু সম্পত্তি আইনের পটভূমি
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় প্রণীত ‘এনেমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, যেসব নাগরিক ভারত ছেড়ে পাকিস্তান বা চীনে স্থায়ী হন, তাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি রাষ্ট্রের অধীনে চলে যায়। ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খান ছিলেন সাইফ আলি খানের দাদার শ্বশুর। তার কন্যা সাজিদা সুলতান, যিনি ভারতে থেকে যান, তিনিই আইনত এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। সাইফ আলি খান তারই নাতি।
২০১৯ সালে আদালত স্বীকৃতি দিয়েছিল সাজিদা সুলতানের উত্তরসূরি হিসেবে সাইফ আলি খান সম্পত্তির দাবিদার। কিন্তু তার ফুফু আবিদা সুলতান পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় বিষয়টি জটিল হয়ে পড়ে। সরকার সেই সুযোগে পুরো সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে দাবি করে।
বর্তমানে আদালতের রায়ের ফলে সাইফ আলি খানের দাবি বাতিল হয়ে গেছে। আর প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশাল সম্পত্তি ভারত সরকারের হেফাজতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।